কম্পিউটার কি? এর কম্পিউটার এর ব্যাবহার ও পরিচিত ও বিশ্লেষণ করো

এ্যাবাকাস থেকে মাইক্রোকম্পিউটারঃ সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষ গণনার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে নুড়ি, ঝিনুক, শস্যের দানা, বাঁশের কাঠি, দড়ির গিট, মাটির দাগ ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য। রােমান ভাষায় নুড়িকে বলা হত ক্যালকুলি (Calculi)। ক্যালকুলি শব্দ থেকেই ইংরেজী ক্যালকুলেট (Calculate) শব্দের উৎপত্তি । তবে গণনার জন্য যন্ত্র বা যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের ইতিহাস ধরা হয় এ্যাবাকাস (Abacus) যন্ত্র থেকে। এ্যাবাকাস কখন কোন দেশে প্রথম চালু হয় তা সঠিকভাবে বলা যায় না। তবে এখন থেকে আড়াই হাজার বছর অর্থাৎ খৃষ্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে চীনে/মিশরে গণনার জন্য এক ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করা হত। কারাে কারাে মতে প্রথম আবিষ্কৃত গণনাকারী যন্ত্রের নাম ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে – চীনাদের তৈরী এ্যাবাকাস নামক গণনাকারী যন্ত্রটিই প্রথম গণনা যন্ত্র, যাকে কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ বলা হয়। প্রাচীন গ্রীসেও এ ধরণের যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। এরপর স্কটল্যান্ডের গণিদবিদ জন নেপিয়ার ১৬১৪ সালে লগারিদমের সারণী আবিষ্কার ও প্রকাশ করেন। তিনি দাগকাটা ও সংখ্যা ব্যবহার করে ১৬১৭ সালে এক ধরনের গণনাযন্ত্র আবিষ্কার করেন। কাঠি দিয়ে গণনার এই পদ্ধতি নেপিয়ারের হাড় (Napier’s Bone) নামে পরিচিত হয়। তার এ যন্ত্র দিয়ে ভাগ ও গুণ করা যেত এবং বর্গমূল বের করা যেত। নেপিয়ারের লগারিদম ব্যবহার করে উইলিয়াম অটরডে ১৬৩০ সালে প্রথম সাইড রুল তৈরী করেন। ১৬৪২ সালে ১৯ বছরের ফরাসী ব্লেইজ প্যাস্কেল একটি গণনা যন্ত্র তৈরী করেন । তিনি এ যন্ত্রে গিয়ারের সাহায্যে চাকা চালানাের পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন যুগের সূচনা করেন। তিনি এ যন্ত্রে ৮টি চাকা এবং প্রতিটি চাকায় ১০টি করে দাঁত ব্যবহার করেন। পরবর্তী ৩শ বছরের মধ্যে যত ক্যালকুলেটর বা যান্ত্রিক গণনাযন্ত্র তৈরী হয়েছে তাতে গিয়ার চালিত চাকা ব্যবহার করা হয়েছে। প্যাস্কেলের এই যন্ত্র দিয়ে যােগ, বিয়ােগ করা যেত। সুনীলকেট লিবনিজ চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে একটি যান্ত্রিক

কম্পিউটার এর ব্যাবহারঃ তার এ যন্ত্র দিয়ে ভাগ ও গুণ করা যেত এবং বর্গমূল বের করা যেত। নেপিয়ারের লগারিদম ব্যবহার করে উইলিয়াম অটরডে ১৬৩০ সালে প্রথম সাইড রুল তৈরী করেন। ১৬৪২ সালে ১৯ বছরের ফরাসী ব্লেইজ প্যাস্কেল একটি গণনা যন্ত্র তৈরী করেন। তিনি এ যন্ত্রে গিয়ারের সাহায্যে চাকা চালানাের পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন যুগের সূচনা করেন। তিনি এ যন্ত্রে ৮টি চাকা এবং প্রতিটি চাকায় ১০টি করে দাঁত ব্যবহার করেন। পরবর্তী ৩শ বছরের মধ্যে যত ক্যালকুলেটর বা যান্ত্রিক গণনাযন্ত্র তৈরী হয়েছে তাতে গিয়ার চালিত চাকা ব্যবহার করা হয়েছে। প্যাস্কেলের এই যন্ত্র দিয়ে যােগ, বিয়ােগ করা যেত। ১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রেইড উইলকোট লিবনিজ চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে একটি যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরী করেন। এ যন্ত্রের সাহায্যে গুণ ও ভাগ করা যেত। ১৬৭৩ সালে স্যার স্যামুয়েল মরল্যান্ড গুণের কাজের জন্য একটি গণনা যন্ত্র তৈরী করেন। জার্মানীর মুলার নামে আরাে এক ব্যক্তি ১৭৮৬ সালে ডিফারেন্স ইঞ্জিন নামে বিয়ােগ করার জন্য একটি ক্যালকুলেটর বা গণনা যন্ত্র তৈরীর পরিকল্পনা করেন ।

 এরপর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ ১৮২২ সালে গণিত বিষয়ক হিসাবের জন্য উন্নতমানের ডিফারেন্স ইঞ্জিন তৈরীর কিছু কাজ করেন । এরপর তিনি ১৮৩৩ সালে এ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইঞ্জিনের নক্সা তৈরী করেন । ১৮৮৭ সালে ডঃ হারম্যান হলেরিথ যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারীর কাজে ব্যবহারের জন্য ইলেকট্রো মেকানিক্যাল ব্যবস্থায় পাঞ্চকার্ডের সমন্বয় ঘটিয়ে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্র আবিষ্কার করে+89W99 TV0Q TV দ্রুত আদমশুমারীর রিপাের্ট তৈরী করা সম্ভব হয়েছিল। ১৮৯৬ সালে হলেরিথের এ যন্ত্র তৈরির]! NO1OHS টেবুলেশন মেশিন কোম্পানী” প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এ জাতীয় কয়েকটি কোম্পানী মিলে “ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন কর্পোরেশন” সংক্ষেপে আইবিএম (IBM)-এর জন্ম হয়।

 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক হাওয়ার্ড এইচ, আইকেন আইবিএম-এর চার প্রকৌশলীর সহযােগিতায় ১৯৪৪ সালে Mark-1 নামে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরী করেন । Mark-1 ছিল ৫১ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট উচু। এ কম্পিউটারটিতে ৭ লক্ষ যন্ত্রাংশ সংযােজন করা হয় এবং এ যন্ত্রাংশ সংযােজনের জন্য ৫০০ মাইল তার ব্যবহার করা হয়েছিল । এ মেশিনটির ওজন ৫ টন এবং এটি ১৫ বছর চালু ছিল। এখন এই যন্ত্রটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে। ১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ জন মউসলি এবং তার এক ছাত্র প্রেসপার একার্ড ENIAC নামে একটি ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরী করেন । বৃহৎ আকারের এই কম্পিউটারটি ওজন ছিল ৩০ টন। এনিয়াক প্রতি সেকেন্ডে ৫০০০ যােগ বিয়ােগ করতে পারত।

রপর জন মউসলি ও প্রেসপার একার্ড নিজেদের কোম্পানীকে ১৯৫১ সালের মার্চ মাসে UNIVAC.1(Universal Automatic Calculator) নামক একটি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈর করেন। এটিতে ক্রিষ্টাল ডায়েট স্যুইচ এবং ভ্যাকুয়াম টিউব সার্কিট ব্যবহার করা হয়। এটি একই সঙ্গ পড়া(Read) ও গণনা (Compute) এবং তথ্য লেখা (Write)-এর কাজ করতে পারত।১৯৪৮ সালে ট্রানজিষ্টর আবিষ্কৃত হয় এবং কম্পিউটারে বাবের বদলে ট্রানজিষ্টর ব্যবহারের ফলেকম্পিউটারের আকৃতি ছােট হয়ে আসে এবং কাজ আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে হয় ।ট্রানজিষ্টরের পর আইসি-আবিষ্কারের ফলে কম্পিউটার আগের চেয়ে আরাে ছােট এবং দ্রুত গতিসম্পন্ন হয়। ফলে কম্পিউটারের আকা ১০/১২ ইঞ্চি টেলিভিশনের সমান হয়ে যায়। ফলে দাম কমে যায়, সুবিধা বেড়ে যায় এবং কাজের ক্ষমতা হাজার গুণ বেড়ে যায়। ১৯৭১ সালে কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটে মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। ১ কোম্পানী সর্বপ্রথম মাইক্রোপ্রসেসর তৈরী করেন।

Post a Comment

0 Comments