ফাইভার মার্কেটপ্লেস কি ? ফাইভার-এর পরিচিতি এবং ফাইভার-এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্ কাজের ধরন বর্ননা করো

 


 

 

ফাইভার মার্কেটপ্লেস (Fiverr marketplace) : ফাইভার-এর পরিচিতি  : 

ফাইভার-এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য (Rules & regulation) : অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ফাইভার নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক দিয়ে আলাদা এবং খুবই ফ্রিল্যান্সার-ফ্রেন্ডলি । প্রথমত, অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে যেমন কাজ শুরু করার জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি থেকে শুরু করে প্রোফাইল ও পোর্টফোলিও সাজানোর প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক জটিল ও সময়সাপেক্ষ, সেখানে ফাইভারে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে মোটামুটি কিছু বেসিক অ্যাকাউন্ট সেটিংস করে নিয়েই কাজ স্টার্ট করা যায়। দ্বিতীয়ত, প্রায় সকল ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসেই ক্লায়েন্টরা তাদের নিজেদের কাজের প্রয়োজনীয় সার্ভিসটি প্রজেক্ট আকারে পোস্ট করে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি পাওয়ার জন্য একটি সুবিবেচিত বিডিং, অভিজ্ঞতাস্বরূপ সমজাতীয় কিছু নমুনা কাজের লিংকসহ একটি আবেদনপত্র ক্লায়েন্ট বরাবর সাবমিট করে থাকেন। সেক্ষেত্রে শত থেকে শুরু করে হাজারেরও অধিক ফ্রিল্যান্সার আবেদন করে থাকেন এবং ক্লায়েন্ট বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে পছন্দমতো কিছু আবেদনকারীর ইন্টারভিউ নিয়ে এদের মধ্যে একজনকেই ঐ নির্দিষ্ট প্রজেক্টটি দিয়ে থাকেন। সেজন্য এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া তুলনামূলক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়। অন্যদিকে, ফাইভার-এর ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্স প্রফেশনালরা নিজেরাই কোনো বিষয়ে তাদের দক্ষতাকে নির্দিষ্ট মূল্যের ছোট ছোট গি আকারে সাজিয়ে ক্লায়েন্টের কাছে উপস্থাপন করেন এবং ক্লায়েন্ট তার প্রয়োজনীয় গিগটি অর্ডার করেন। তৃতীয়ত, অন্যান মার্কেটপ্লেসে একটি প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর তার আর কোনো কার্যকারিতা থাকে না, কিন্তু ফাইভার-এ একটি গিগ একই এবং জ্বি ক্লায়েন্টের কাছে একাধিকবার বিক্রি হয়ে থাকে। পাশাপাশি এডিশনাল ফিচারস সম্বলিত এসব গিগের এক্সটেন্ডেড গিগ-ভার্সনগুলে ক্লায়েন্টের কাছে অফার করে ফ্রিল্যান্সাররা প্রচুর আপসেলিং করে থাকেন। 

সর্বোপরি, সাধারণত মার্কেটপ্লেসগুলোতে কোনো প্রজো কাজ করতে হলে ঐ প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্টের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়েও গভীর ধারণা ও জ্ঞান থাকা অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক; কিন্তু ফাইভার-ই সম্ভবত একমাত্র মার্কেটপ্লেস, যেখানে ন্যূনতম মাত্র ৫ ডলার মূল্যের কাজ জানা আছে এমন যে-কে ঐ মূল্যের একটি গিগ তৈরি করে বায়ারদের কাছে অফার করতে পারেন।

 কাজের ধরন : মূলত ডিজিটাল সার্ভিস কেনাবেচার জন্য একটি দ্বিমুখী (শুধুমাত্র বায়ার এবং সেলার সমন্বয়ে) প্লাটফর্ম হিসেবে ফাই প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে- গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং আম ট্র্যান্সলেশন, ভিডিও অ্যান্ড অ্যানিমেশন, মিউজিক অ্যান্ড অডিও, প্রোগ্রামিং অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাডভার্টাইজিং ও বিজিনেস অন্যান্য। আর এসব ক্যাটাগরির অধীনে রয়েছে আরো হাজারো রকমের সাবক্যাটাগরির সমাবেশ। 

উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফিক্স অ্যা ডিজাইন ক্যাটাগরির কাজের মধ্যে রয়েছে লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড অ্যান্ড স্টেশনারি, ফ্লায়ারস অ্যান্ড পোস্টারস, ব্যানার অ্যাডস, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন অ্যান্ড ক্যারিকেচারস, ফটোশপ এডিটিং, বুক কাভারস অ্যান্ড প্যাকেজিং, ইনভাইটেশনস, ওয়েব মোবাইল ডিজাইন, টি-শার্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন, ইনফোগ্রাফিক্স ইত্যাদি। এভাবে প্রত্যেক ক্যাটাগরির সার্ভিসের জন্যই রয়ে এ রকম অসংখ্য নির্দিষ্ট কাজের সাবক্যাটাগরি। অর্থাৎ এমন কোনো দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার জ অ্যাক ফাইভার-এ কাজের কোনো ক্ষেত্র নেই।

গিগ : গিগ হলো অফার করা একটি সার্ভিসের নাম। প্রাথমিকভাবে ফাইবার আপনার গিগটির মূল্য ৫ ডলার অফার বা বিক্রি করছে কাস্টমারেরবায়ারের কাছে এবং আপনাকে গিগটি তৈরির সময় আপনার দেওয়া শর্ত অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। যেমন- যদি আপনি বলে থাকেন, আমি কাজটি একদিনের ভিতর শেষ করে দিবো তাহলে আপনাকে তা একদিনের ভিতর শেষ করতে হবে। আপনি যখন গিগ তৈরি করেছিলেন তখন এটি উল্লেখ করেছেন যে, আমি আমার অফারটি বা আমার গিগটি অর্ডার করলে, দুই (২) দিনের ভিতর বা পূর্বে শেষ করে দিব। যদি দুই দিন উল্লেখ করে থাকেন তাহলে আপনাকে ৪৮ ঘণ্টা বা দুই দিনের একটি টাইমার দেখাবে। যদি বায়ার আপনার গিগটি অর্ডার করে তাহলে আপনার হাতে আর কতটুকু সময় রয়েছে আর কতটুকু সময় পার হয়ে গিয়েছে তা টাইমার দেখলেই বুঝতে পারবেন।

গিগ তৈরি করার নিয়ম ৪ গিগ তৈরি করার জন্য লগ ইন করার পর ডান পার্শ্বে আপনার আইডিসহ সবুজ রঙের ডলার চিহ্নসহ একটি বক্স দেখতে পাবেন। অথবা আপনার আইডির পার্শ্বে একটি ছোট্ট ডাউন অ্যারো দেখতে পাবেন। এবার ক্লিক করুন, একটি মেনু নিচের দিকে পুল ডাউন হবে। এরপর My Sales থেকে Create A gig ক্লিক করুন।

নিচে গিগ এর বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হলো ঃ ,(i) Gig title : এখানে আপনি যে অফার বা সার্ভিসটি দিতে চাচ্ছেন তা টাইপ করবেন। যেমন, টাইটেলের শুরুতে I will এবং শেষে for $5—এই কথাটি অটোমেটিক্যালি বসবে, আমাদের উল্লেখ করতে হবে না। যদি আপনি SEO, Backlink, Forum Posting, Facebook Like, Twitter, Business Card ইত্যাদি যে ধরনের কাজ হয় তার উপর গিগ তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি এভাবে টাইটেল লিখতে পারেন create backlink, design your professional Business Card, give you real USA Facebook Like-এরপর এ রকম একটি Sentence তৈরি হবে এবং ফাইভারে ক্লায়েন্ট এভাবে দেখতে পাবে “I will give you real USA Facebook Like for $5” অথবা, “I will design your professional Business Card for $5” এবার তাহলে সুন্দর করে একটি টাইটেল টাইপ করুন, যেন অন্য কারো সাথে আপনার টাইটেলটি মিলে না যায়। আসুন দ্বিতীয় অপশনে যাই। Category ঃ এখানে আমরা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করবো। আপনার গিগটি যে ধরনের কাজ বা সার্ভিসের উপর তৈরি করতে চাচ্ছেন সে ধরনের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন।

 এখানে Category দু’ভাবে বিভক্ত, প্রথমে মেইন Category select করবেন, এরপর মেইন ক্যাটাগরি থেকে সাবক্যাটাগরি সিলেক্ট করবেন। (iii) Gig Gallery ঃ এখানে আমরা মিনিমাম একটি ও ম্যাক্সিমাম ৩টি ছবি দিতে পারবো, তবে অবশ্যই ছবিগুলোর স্ক্রিন রেজোলুশন প্রস্থ (Width) ৬৮২ পিক্সেল ও উচ্চতা (Height) ৪৫৯ পিক্সেল হতে হবে। আপনি ফটোশপ দিয়ে খুব সহজে এটি করতে পারেন। এ ছাড়া আরও একটি ব্যাপার, ছবিটি আপনি জেপিজি (JPG)-তে সেইভ করবেন অন্যথায় আপনি গ্যালারিতে অ্যাড করতে পারবেন না। এরপর চলুন গিগের বর্ণনা নিয়ে আলোচনা করা যাক। (iv) Description : এই ঘরটি দেখেই বুঝতে পারছেন এখানে কী উল্লেখ করা উচিত। এখানে আপনার গিগের সার্ভিস সম্বন্ধে লিখবেন। আপনি কী কী সার্ভিস দিবেন, কীভাবে দিবেন, ইত্যাদি যত ধরনের সুবিধা যা আপনি এই গিগ দিয়ে দিতে চান তা উল্লেখ্য করবেন এবং অর্ডার পেলে তা আপনাকে করতে হবে। এ ছাড়া ক্লায়েন্টও যদি এর থেকে বেশি কিছু চায় তখন তাকেও আপনি বলতে পারবেন যে, দেখ তোমার এই সুবিধাটুকু এই গিগে নেই অথবা থাকলে আমার আরও কয়েকটি গিগে অর্ডার করতে হবে ইত্যাদি। আরও একটি ব্যাপার আপনি সবার শেষে উল্লেখ করে দিতে পারেন তা হলো, অবশ্যই গিগটি অর্ডার করার পূর্বে আপনাকে যেন একটি মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। তাহলে আপনি কাজ সম্পন্ন করতে পারলে বায়ারকে অর্ডার করতে বলবেন আর না পারলেও মেসেজের রিপ্লাই দিবেন।

Tags : এটি হলো Keyword-এর মতো। আপনার গিগটি যে ধরনের কাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে সে ধরনের কাজের উপর ৫টি ওয়ার্ড নির্ধারণ করবেন এবং সর্বনিম্ন ৩টি করতে হবে। যেমন- আপনি যদি SEO গিগ তৈরি করে থাকেন, তাহলে এ রকম Keyword দিতে পারেন যেমন- SEO Service, WordPress SEO, SEO Marketing, Page Rank, Backlink ইত্যাদি। এ ছাড়া যাদের Keyword Research-এর উপর ধারণা আছে তারা আরও ভালো ভালো ট্যাগ উল্লেখ করতে পারবেন এবং এর ফলে ক্লায়েন্ট আপনার গিগটি সহজে খুঁজে পাবে এবং অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। (vi) Duration : এখানে আপনি কত দিনের ভিতর সার্ভিসটি ডেলিভারি দিবেন তা সিলেক্টট করবেন। 

সহজ কথায় আপনি যে সার্ভিসের উপর গিগ তৈরি করতে চাচ্ছেন প্রথমে তা চিন্তা করে নিবেন যে, আপনার সার্ভিসটি সম্পন্ন করতে কতটুকু সময় লাগবে বা অন্যরা একই সার্ভিস কতটুকু সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিচ্ছে। আপনি এখানে ১ দিন থেকে ২৯ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারবেন ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। সাধারণত বেশিরভাগ গিগ ১ থেকে ২ দিনের ভিতরই ডেলিভারি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যখন একটি অর্ডার পাবেন তখন চেষ্টা করবেন ১ দিন হলে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার ভিতর কাজটি শেষ করে দিতে। কারণ, অনেক সময় আপনার কাজটি পছন্দ না হলে ক্লায়েন্ট আপনাকে মডিফিকেশন এর জন্য পাঠাতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি যেন আপনার ডেলিভারি টাইম হাতে থাকতে শেষ করতে পারেন।

মুক্তপেশায় কাজ পাওয়ার কিছু টিপস : ইন্টারনেট হলো আউটসোর্সিংয়ের কাজ দেয়া-নেয়ার ওয়েবসাইট (অনলাইন মার্কেটপ্লেস)। মুক্তপেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) এসব সাইট থেকে কাজ নিয়ে থাকেন। কিছু কৌশল জানা থাকলে কাজ পাওয়াটা সহজ হয়। কেউ কেউ আছেন, যারা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যারা ১০০টা আবেদন করেও পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কত কম অর্থে (ডলার) কাজটি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তার ওপর। বাড়বে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। CANI যে-সব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না, তাদের কাজে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে ভাড়া করতে হলে বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড হতে হয়। কোনো একটা কাজ দেওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো। তবে আবেদন করার সময় কাভার লেটারটি এমনভাবে লিখবেন, যেন বায়ার বুঝতে পারে আপনি কাজটির বর্ণনা পড়েছেন এবং তা করতে পারবেন। আপনি যত বেশি মার্কেটপ্লেসে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো মার্কেটপ্লেসে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) সম্পন্ন করে জমা দিতে হয়, যেমন- ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাৎ করে কোনো ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো বার্তা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি তার জবাব দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবে, আপনি কাজের প্রতি আন্তরিক।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন কাজ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন । যে-সব কাজে কোনো কনট্রাক্টরের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো। যে-সব কাজে শর্ত দেওয়া রয়েছে, আর সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন, তবে সেসব কাজে আবেদন না করাই ভালো, যেমন- Feedback Score : At least 4.00 এবং oDesk Hours: At least 100 hours | যারা ওডেস্কে দু-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি ডলার দাম ধরে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে কাজের জন্য আবেদন করবেন, তার নিচে দেখুন বায়ারের আগের কাজগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তার আগের কাজগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ দিয়েছিল, তবে বেশি ডলার হারে আবেদন করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং ঃ বর্তমান সময়ে তরুণদের কাছে সবচাইতে আলোচিত একটি শব্দ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)- এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এ ধরনের পেশাজীবীকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) বা স্বাধীনপেশাজীবী। চাকরিজীবীদের মতো এরা বেতনভুক্ত নয়। কাজ ও চুক্তির উপর নির্ভর করে আয়ের পরিমাণ কম বা অনেক বেশি হতে পারে, তবে স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছামতো ইনকামের সুযোগও আছে। এজন্য স্বাধীনমনা লোকদের আয়ের জন্য এটা একটা সুবিধাজনক পন্থা। আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্তপেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এ পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন, তবে তা আপেক্ষিক। ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ হওয়াতে এ পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে, যার কারণে বর্তমানে ছাত্রছাত্রী এবং অনেক চাকুরিজীবী এই পেশায় আসছেন। বর্তমানে আউটসোর্সিং হচ্ছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের তৃতীয় ক্ষেত্র। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। 

Post a Comment

0 Comments