কৌলটার কাউন্টার কি ? মূলনীতি ও ক্রিয়াকৌশল বর্ণনা করো এবংইনস্ট্রুমেন্টের বড় সুবিধা কি ?





কৌলটার কাউন্টারের মূলনীতি ও ক্রিয়াকৌশল বর্ণনা : রক্তবিজ্ঞান (Hemotology) ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন প্রয়োজন মিটানোর জন্য বিস্তৃত রেঞ্জের কণিকা গণনাকারী ইনস্ট্রুমেন্ট ডিজাইন করা হয় এবং বাণিজ্যিকভাবে এগুলো পাওয়া যায়। এ ইনস্ট্রুমেন্টগুলো যেমন ছোট করে তৈরি করা যায়, তেমন আবার প্রয়োজনে বড় করেও ডিজাইন করা হয়। ছোট কাউন্টারগুলো প্রাথমিকভাবে লোহিত কণিকা এবং শ্বেতকণিকা গণনা করার কাজে ক্ষুদ্র হসপিটাল এবং ক্লিনিকগুলোতে ব্যবহৃত হয় আর বড় কাউন্টারগুলো যেমন 14 প্যারামিটার মাইক্রোপ্রসেসর কন্ট্রোলড ইনস্ট্রুমেন্টগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তরলীকৃত নমুনার উপর কাজ করে এবং ছাপানো ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম।

নিচের চিত্র এ কৌলটার কাউন্টারের মূলনীতি দেখানো হয়েছে: অরিফিস টিউবের মধ্যে একটি প্লাটিনাম-ইলেকট্রোড স্থাপন করা হয় এবং দ্বিতীয় ইলেকট্রোডকে একটি বীকারের মধ্যে স্থাপন করা হয়। এ বিকারের মধ্যে সেল সম্বলিত তরল থাকে। এখন এ দুই ইলেকট্রোডের মধ্যে বৈদ্যুতিক সার্কিট সৃষ্টি করা হয়। অরিফিসের মাধ্যমে কারেন্ট এক ইলেকট্রোড হতে অন্য ইলেকট্রোডে প্রবাহিত হবে। যখন সেল সাসপেনশন্‌কে অরিফিসের মাধ্যমে টেনে আনা হবে তখন সেলগুলো তাদের নিজস্ব ইলেকট্রোলাইটকে স্থানচ্যুত করবে এবং একটি রেজিস্ট্যান্স পরিবর্তন ঘটাবে, যাকে ভোল্টেজ পরিবর্তনে রূপান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে বিবর্ধন করে ডিসপ্লেতে আনা হয়।কেবল পূর্বনির্ধারিত সাইজের সীমাবদ্ধতার মধ্যে পালসগুলো গণনা করার জন্য ইনস্ট্রুমেন্টটির থ্রেশহোল্ড ব্যবস্থা থাকা দরকার । সিস্টেমের মধ্যে উপস্থিত থাকতে পারে এমন যে-কোনো ইলেকট্রনিক নয়েজকে দূর করার জন্যও থ্রেশহোল্ডের প্রয়োজন রয়েছে।

লোয়ার থ্রেশহোল্ড দ্বারা সমগ্র ভোল্টেজ লেভেলকে এমনভাবে সেট করা হয় যেন কোনো একটি পাল্স কাউন্ট বা গণনা হওয়ার পূর্বে এটাকে উক্ত ভোল্টেজ লেভেল অবশ্যই অতিক্রম করতে হয়। আর আপার থ্রেশহোল্ডটি ঐ সকল পালগুলোকে গণনা হওয়া থেকে বিরত রাখে যেগুলো এর পূর্বনির্ধারিত (Preset) লেভেল অতিক্রম করে। 17 অ্যামপ্লিফায়ারের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী পালস্ ইনফরমেশনকে ডিসপ্লে করার জন্য কৌলটার কাউন্টারে সচরাচর একটি অসিলোস্কোপ মনিটর ব্যবহার করা হয়। এটির ফলে কাউন্টিং প্রসেসের উপর দৃশ্যমান চেক সম্ভব হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোনোরূপ গোলমাল যেমন— ব্লকড্ অরিফিস নির্দেশিত হয়। বিশেষ করে এটি কতকগুলো বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে যেমন— (i) তুলনামূলক সেল বা কোষের আকার (ii) তুলনামূলক সেল সাইজ ডিসট্রিবিউশন্ (iii)

থ্রেশহোল্ড লেভেল কন্ট্রোলের সেটিং এবং (iv) গণনার বিশ্বস্ততার জন্য ইনস্ট্রুমেন্টের কার্যকারিতা চেক করার উপায় সম্পর্কে তথ্য। একটি সেল যখন অরিফিসের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করে, তখন প্রতিবার ভোল্টেজ পালস্ উৎপন্ন হয় এবং এ পালস্‌গুলো ভার্টিক্যাল স্পাইক প্যাটার্ন আকারে অসিলোস্কোপের উপর প্রদর্শিত হয়। বিভিন্ন প্রকার সেলের সাইজ ডিসট্রিবিউশনের ধারণাও কৌলটার কাউন্টার থেকে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পালস্-হাইস্ বা পালসের উচ্চতা, কণার আয়তনের সমানুপাতিক হয়।

একটি A-D কনভার্টার দ্বারা পালসের উচ্চতাকে ডিজিটাল নাম্বারে রূপান্তর করা হয় এবং একটি মেমরিতে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতে তা দ্বারা কণার আকৃতির ফাংশন হিসাবে সেল সংখ্যার প্লট অঙ্কন করা হয়। সেল কাউন্টারের মধ্যে যে প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তা অতি লো নয়েজের হতে হয় (< 2nA) এবং প্রয়াজনীয় ব্যান্ড উইডথের মান হতে হয় 70 KHz-এর মতো। এটউটারের মলনীতি এবং ক্রিয়াকৌশল বর্ণনা।একটি সাধারণ যান্ত্রিক পাম্প দ্বারা এ চাপ পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়। একটি সিরিঞ্জ, একটি রিলে এবং অন্যান্য পার্টস নিয়ে এ সরল পাম্পটি গঠিত হয়। চাহ ইলেকট্রোড E, এবং E, এর মধ্যে সাধারণত একটি ধ্রুব কারেন্ট প্রবাহিত করানো হয়। কাজেই এ দুই ইলেকট্রোডের মধ্যে পরিমাপকৃত তরলের বৈদ্যুতিক রোধ দ্রুত পরবর্তিত হয় যখন ইলেকট্রোলাইটের কন্ডাকট্যান্স হতে ভিন্ন বৈদ্যুতিক কন্ডাকট্যান্স বিশিষ্ট কোনো কণা ছিদ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। এটির ফলে একটি ভোল্টেজ পালসের সৃষ্টি হয়, যাকে একটি উচ্চ গেইন এবং লো নয়েজ লেভেল বিশিষ্ট প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার দ্বারা বিবর্ধন করা হয়। এ স্টেজের আউটপুট সিগন্যালকে একটি ডিসক্রিমিনেটরে দেয়া হয়, যা এটির ইনপুটে উপস্থিত পালস অ্যামপ্লিচিউডকে প্রিসেট ট্রিগারিং লেভেলের সাথে তুলনা করে। যদি ইনপুট সিগন্যাল ট্রিগারিং লেভেলকে অতিক্রম করে তবে ডিসক্রিমেনেটরটি ধ্রুব আকৃতির এবং অ্যামপ্লিচিউডের পালস্ প্রদান করে। এ পালসগুলো পরিমাপযোগ্য প্যারামিটারের ডিসপ্লের জন্য কাউন্টিং সার্কিটে গমন করে।

মেজারিং টিউস এর মধ্যে তৃতীয় আর একটি ইলেকট্রোড E, থাকে, যা সীমিত আয়তনের সাস্পেনশন্ শোষণ মনিটরে সাহায্য করে। যখন লিক্যুইড লেভেল E3 তে পৌছে, তখন পাম্পটি সাকশন বা শোষণ কার্যক্রম থেকে প্রেসার বা চাপ কার্যক্রমে পরিবর্তন হয়। যখন মেজারিং টিউব হতে ইলেকট্রোলাইটকে বলপূর্বক বের করে দেয়া হয়, সে সময়ের মধ্যেও গণনা কার্য সংঘটিত হয়। ইলেকট্রোড E; এর সাথে লিকুইডের সংযোগ শেষ হওয়ার পরে গণনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং যন্ত্রটি পুনরায় অপারেশনের জন্য তৈরি হয়। ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য পরিমাপকে বেশ কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করতে এবং পরিমাপগুলোর গড়মান হিসাব করার জন্য প্রস্তুতকারকগণ সুপারিশ করে থাকেন।

এ ইনস্ট্রুমেন্টের বড় সুবিধা হলো যে, ময়লা ইত্যাদি দ্বারা বন্ধ হওয়া কৌশিক নলকে পরিমাপ পদ্ধতির সময় দ্বিমুখী প্রবাহ প্রয়োগ করে সহজেই মুক্ত করা যায় । একক আয়তনে কণার সংখ্যা N-কে নিম্নোক্ত সম্পর্ক হতে নির্ধারণ করা যায়।ক্যাথেটারাইজেশন প্রণালির সময় কার্ডিয়াক আউটপুটের জন্য নির্বাচিত ECG লিড হতে অন-লাইনে তথ্য পাওয়া যায়। কার্ডিয়াক আউটপুট এবং পালমোনারি, সিস্টেমিক এবং সান্ট ফ্লো এর ক্যালকুলেশনের জন্য অক্সিজেন সেচুরেশনের ম্যানুয়াল ডাটা এন্ট্রি কাজে লাগে। অন্যান্য ম্যানুয়াল ডাটা এন্ট্রি কম্পিউটার দ্বারা প্রাপ্ত অধিকাংশ মেজারমেন্ট ক্যালকুলেশন ও ফলাফলের পরিবর্তনে (Modification) সাহায্য করে। অ্যানালাইসিসকৃত প্রেসার গ্রেডিয়্যান্ট, ভাল্ভ এরিয়া এবং কার্ডিয়াক আউটপুট ভিডিও মনিটরে প্রদর্শিত হয় ।

Post a Comment

0 Comments