রেডিও প্যারাবলিক অ্যান্টেনার মাধ্যমে কিভাবে সিগন্যালকে আদান-প্রদান করা হয়? কৌশল বর্ননা করো এবং নির্মাণকৌশল ট্রান্সমিশন ফ্রিকুয়েলি বর্ননা করো

 

https://www.blogger.com/blog/post/edit/7055788811792244960/350068129274935112

 রেডিও প্যারাবলিক অ্যান্টেনা :  সিস্টেমে ছােট একটি প্যারাবলিক অ্যান্টেনার মাধ্যমে সিগন্যালকে আদান-প্রদান করা গেলেও এটি সামান্য কয়েকজন ব্যক্তিদেরনিকট পৌছায় মাত্র। কিন্তু একটি বৃহৎ জনগােষ্টি বা জাতির কথা বিবেচনা করলে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সিগন্যাল প্রেরণ করতে হয় । আমরা জানি, তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সাথে অ্যান্টেনার উচ্চতা ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তন হয়। আবার, একটি নির্দিষ্ট বিস্তৃত ভৌগােলিক সীমানায় সকল জনগণের জন্য সার্ভিস প্রদান করতে হলে এমন একটি সীমানায় সিগন্যাল প্রেরণ করতে হবে, যাতে ছােট বা সহজে ব্যবহারযােগ্য অ্যান্টেনার মাধ্যমে সিগন্যালকে রিসিভ করা যায়। এক্ষেত্রে ইয়াগি অ্যান্টেনা বহুল প্রচলিত। এখন কথা হলাে এই ইয়াগি অ্যান্টেনায় গ্রহণ উপযােগী সিগন্যাল প্রেরণ করতে হলে ট্রান্সমিটিং অ্যান্টেনার অনেক উচ্চতায় স্থাপন করতে হবে। এতটুকু আলােচনা থেকে অন্তত এটুকু বুঝা যায়, অধিক উচ্চতায় অ্যান্টেনা স্থাপন করলে ট্রান্সমিটকৃত সিগন্যাল বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়ানাে সম্ভব। তােমরা নিশ্চই মােবাইল/টেলিফোন কোম্পানি কতৃক স্থাপনকৃত মােবাইল বেস স্টেশন দেখেছ? আমরা এক কথায় এগুলােকে বলে থাকি মােবাইল টাওয়ার। বস্তুত এর নাম মােবাইল বেস স্টেশন বা বিবিটি। চারকোনা বা স্কয়ার আকৃতির লােহার ফ্লাটবার দিয়ে তৈরি অবকাঠামােটিকে বলা হয় টাওয়ার। এ জন্য আমরা সচরাচর এটিকে টাওয়ার বলে থাকি। অনুরূপভাবে, টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং-এর জন্য এ ধরনের অধিক উচ্চতার টাওয়ার প্রয়ােজন। তা প্রায় ৫০০ থেকে ৮০০ মিটার বা তার অধিক উচ্চতার হতে পারে। ম্যাস্ট রেডিয়েটর এমন এক ধরনের ম্যাস্ট বা টাওয়ার, যার সমস্ত অবকাঠামােটাই অ্যান্টেনা হিসাবে কাজ করে। এটা সচরাচর মিডিয়াম এবং লং (Long) ওয়েভ ট্রান্সমিশন অ্যান্টেনা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গঠনগত দিক থেকে অন্যান্য ম্যাস্ট বা টাওয়ারের প্রধান পার্থক্য হলাে Block letter এর সমস্ত বেজ টাই ইনসুলেটর বা অন্তরক হতে হয়। অপর দিকে টাওয়ারের প্রতিটি লেগকে অন্তরক করতে হয়।

এটা সাধারণত লাে-ফ্রিকুয়েন্সি যেমন এবং Medium frequency (MF)বিশেষত AM Broadcasting-এ ব্যবহৃত হয়। ম্যাস্ট-এর সমস্ত বডি মেটাল ট্রান্সমিটারের সাথে ইলেকট্রিক্যালি কানেকটেড থাকে।রেডিও ম্যাস্ট এবং টাওয়ার সম্পর্কে ধারণা লাভ কৗশল অধিকাংশ ম্যাস্ট রেডিয়েটর গাইড ওয়ারের সাহায্যে এবং ভূমির সাথে ইনসুলেশন করে বেস হয়। স্টিল লেটিস (Steel lattice) রেডিয়েটরগুলাে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্রিকোণাকার  ক্রস সেকশনে তৈরি করা হয়। তবে প্রয়ােজনবােধে স্কয়ার বা টিউবলার ম্যাস্টও ব্যবহার করা হয়। পুরাে টাওয়ারটিকে কন্ডাক্টর হিসাবে নিশ্চিত করার। বগঞ্জি সেকশনে একটি ছােট কপার কন্ডাক্টরের সাহায্যে বন্ড করা হয়। এর বেস (Base) সাধারণত একটি মােটা সিরামিক। যার পুরাে টাওয়ারের ওজন এবং চাপ বহন করার সামর্থ রয়েছে। অধিকন্তু ট্রান্সমিটারে। প্রকেF ভােল্টেজ থেকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ডাই-ইলেকট্রিক শক্তি সম্পন্ন হতে হবে। RF টিউনার। RF ভােল্টেজ প্রয়ােগ করা হয়, যেটা সচরাচর একটি ছােট ভবনে স্থাপন করা হয়ে থাকে যাকে হেলিক্স (Helix) বিহিষণা হয়। পরিবহন তারগুলাে বােল্টের সাহায্যে টাওয়ারের বডির সাথে স্থাপন করা হয়। সকত ট্রান্সমিটারটি একটি বড় ও বিস্তৃত ভবনে থাকে, যা হতে ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে RF ভােল্টেজকে হেলিক্স বিল্ডিং-এ। পাঠানো হয়। মুক্তভাবে দাঁড়ানাে টাওয়ারগুলাে রেডিয়েটং অবকাঠামােতে তৈরি করা হয়। এ টাওয়ারের সসেকশনগুলাে ত্রিকোণাকার বা বর্গাকার হয়। কিন্তু এর প্রতিটি লেগ (পা) অবশ্যই ইনসুলেটিং সাপাের্ট-এর উপর বসানাে থাকে। ম্যাস্ট-এর উচ্চতা নির্ধারণ হয় প্রয়ােগকৃত সিগন্যালের উপর।

ট্রান্সমিশন ফ্রিকুয়েলি-এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর হিসেব করে এর উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়। লং ওয়েভ এবং মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনের জন্য এর উচ্চতা অবশ্যই এর ওয়েভলেংথ বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আটভাগের পাঁচ/ছয় ভাগ হতে হবে। যদি এটা সম্ভব না হয় তবে লােডিং কয়েল দ্বারা এর ক্যাপাসিটি বাড়ানাে হয়। মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিশনের জন্য এর উচ্চতা ৩০০ মিটার-এর মধ্যে রাখা হয়। 232 kHz সিগন্যালের জন্য এর উচ্চতা প্রায় ১২৯২.৭৬ মিটার প্রয়ােজন। ১৯৯১ সালে পােলান্ডে ৬৪৬.৩৮ মিটার (২১২০.৬৭ ফিট) স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে, যা ঐ সময়ের মধ্যে মানবসৃষ্ট সর্বোচ্চ স্থাপনার রেকর্ড গড়েছিল। 

কনস্ট্রাকশন বা ফিড অ্যারেঞ্জমেন্ট তিনভাবে করা যায়-১। সিরিজ এক্সাইটেড ২। শান্ট এক্সাইটেড ৩। সেকশনাল।

রিইনফোর্সড কংক্রিট টাওয়ারের মৌলিক কার্যনীতির বর্ণনা : রিইনফোর্সড কংক্রিট টাওয়ার নির্মাণ অনেক বেশি ব্যয়বহুল হলেও এর মেক্যানিক্যাল শক্তি বা বাতাসের ধাক্কা সহনশীল শক্তি অনেক বেশি। এটা অন্যান্য টাওয়ার স্থাপনের চাইতে বেশি ব্যয়বহুল ও কম স্থান দখল করে। কিন্তু এটি অধিক উচ্চতাসম্পন্ন হলে ব্যয় দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। কিন্তু প্রাথমিক স্থান নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত পাহাড়ের উপর বেশি স্থাপন করা হলেও বর্তমানে শহরের মধ্যেও এটি স্থাপন করা হয়। বিশেষত যখন ন্যারাে ব্যান্ডের সিগন্যাল ট্রান্সমিট করা হয় তখন। এটি আবশ্যক হয়ে ওঠে। রিইনফোর্সড টাওয়ারের পুরাে অবকাঠামােটি কংক্রিটের তৈরি হয়। স্টুডিও নিয়ন্ত্রণ অংশটি এর অনেক উপরে অবস্থান করে। টাওয়ারের মাথার উপরে স্টিলের ল্যাটিস বা ম্যাস্ট রেডিয়েটর টাওয়ার বসানাে থাকে, যাতে ট্রান্সমিটিং অ্যান্টেনা সেটিং করা হয়। এর প্রাথমিক স্থাপন খরচ বেশি হলেও মেইনটেন্যান্স খরচ খুবই কম। এটি তুলনামূলক বেশি স্থায়ী বলে দ্বিতীয় টাওয়ার। নির্মাণের আর কোনাে প্রয়ােজন হয় না।

নির্মাণকৌশল : সর্বপ্রথম ডিজাইন সিলেকশনের জন্য অবকাঠামাে স্থান নির্বাচন করা হয়। সাধারণত নির্জন স্থানে বা লােকালয় থেকে একটু দূরে এ সব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। তবে প্রয়ােজনবােধে শহরের ভিতরেও এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে দেখা যায়। রিইনফোর্সড় শব্দের অর্থ হলাে নিয়ন্ত্রিত বল প্রয়ােগ করা। এ শব্দ থেকেই বুঝা যায় এর নির্মাণশৈলি কেমন হবে। সর্বপ্রথম সিগন্যাল ফ্রিকুয়েন্সি অনুসারে এর উচচতা নির্ধারণ করা হয়। কত উচ্চতায় এর নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন হবে বা কত উচ্চতা পর্যন্ত এর অ্যান্টেনা নির্মাণ হবে তা আগে থেকেই ডিজাইন ও ক্যালকুলেশন করা থাকে। এরপর বসানাে হয় স্টিলের অবকাঠামাে। কিছু নির্দিষ্ট ডিজাইনে এর ভিত্তি ও কলাম বসানাে হয়। এর চারপাশে শক্তিশালী ফ্রেম দ্বারা আবদ্ধ করা হয়, এবং বাইর থেকে উচ্চ চাপে কংক্রিটের মিক্সার ফ্রেমের ভিতর প্রবেশ করানাে হয়। ফলে কংক্রিটের অণুগুলাে সর্বদা বহিরমুখী অবস্থান করে এবং বাইরে চাপ প্রয়ােগ করে। এর ফলে টাওয়ারটি ভূমিকম্প বা বাতাসের অধিক চাপ সহনশীল হয়ে ওঠে। রিইনফোর্সড কংক্রিটের মূলনীতি হলাে বাইর থেকে নিয়ন্ত্রিত উচ্চ চাপের মাধ্যমে অবকাঠামাের ফ্রেমে কংক্রিটের মিক্সার প্রবেশ ফেলাসেনেগ  টাওয়ার হল একটি সম্প্রচার  টাওয়ার, যা সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফেলসেনেগ বন পর্বতের উপর ফেলসেনেগ পয়েন্টে অবস্থিত। এটি একটি রেডিও ও টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং স্টেশন, যা সুইজকম ব্রডকাস্ট এজি এর অধিনে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত। এখানে সাধারণভাবে কোনাে জনগণের প্রবেশ অধিকার নেই। অন্যান্য স্টেশনগুলােতে পর্যটকদের প্রবেশযােগ্যতা থাকলেও এতে সর্বদা পর্যটক প্রবেশযােগ্যতা নেই।বস্তুত টেলিফোন যােগাযােগ এবং রেডিও ও টেলিভিশন প্রােগ্রাম সম্প্রচারের জন্য এটি নির্মাণ ও ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি ছিল সুইজারল্যান্ডের একমাত্র টেকনিক্যাল টিভি ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল সেন্টার এবং পরবর্তীতে অনেক ব্যক্তিমালিকানা টিভি স্টেশন দেশি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রচারের জন্য এতে সংযােগ স্থাপন করে। এই টাওয়ারটিতে ২৭টি ট্রান্সমিশন অ্যান্টেনা ছিল এবং সবগুলােই সর্বদা সিগন্যাল ট্রান্সমিশন করতাে। বর্তমানে অপটিক্যাল ফাইবার রেডিও বিম টেকনােলজির কারণে এর গুরুত্ব অনেক কমে গেছে। বর্তমানে এটি রেডিও জুরিল নামে একটি এফএম অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এবং ২০০৫ সাল থেকে এটি একটি রাডার স্টেশন হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।

টেকনিক্যাল তথ্য: এই টাওয়ারটি ত্রিকোণাকার ৫১ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এবং এর ছাদের উপর ২২ মিটার লম্বা অ্যান্টেনা রয়েছে। এটার ১৬টি ফ্লোর রয়েছে এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে সমস্ত টেকনিক্যাল  মালামাল স্থাপন করা হয়েছে। অ্যান্টেনাটিসর্বাধিক উচ্চতার পাঁচটি ফ্লোরে স্থাপিত হয়েছে। ডিরেকশনাল ট্রান্সমিশনের জন্য এতে প্যারাবােলিক হর্ন এবং শেল (Shell) অ্যান্টেনাব্যবহার করা হয়েছে। 10W পাওয়ারের মাধ্যমে এটি ১১০ কিলােমিটার বা ৬৮ মাইল এলাকা কভারেজ দিয়ে থাকে।

Post a Comment

0 Comments